সরকারিভাবে অনুমোদন হওয়া প্রকল্প যার বাস্তবায়ন শীঘ্রই শুরু হবে
Officially sanctioned projects whose implementation will start soon
“দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ” প্রকল্প এবং “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা সমবায় সমিতি সংগঠন” প্রকল্প
“দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ” প্রকল্প
["Extension of Activities of Dairy Cooperatives in Milk Shortage Upazilas" project]
১। প্রকল্পের নাম: “দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ”
২। উদ্দেশ্য: এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দুগ্ধ ঘাটতি এলাকায় উন্নত শংকর জাতের গাভী পালনের প্রচলনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ:
* স্থানীয় চাহিদা পূরণে প্রাথমিকভাবে সারাদেশের ৫০ টি দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় বছরে প্রতি উপজেলায় গড়ে ৪৫০০০০ লিটার দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
* প্রকল্পতুক্ত ৫০০০ জন উপকারভোগীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি
* অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ২০০০ জন নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ।
৩। প্রকল্প বাস্তবায়নকাল:
০১ জুলাই ২০২২ হতে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত।
৪। গোপালগঞ্জ জেলার জন্য প্রকল্প এলাকা :
কাশিয়ানী উপজেলা।
৫। প্রকল্প ব্যয়:
আনুমানিক ৩০০ লক্ষ টাকা।
৬। প্রকল্পের কার্যাবলী (মূল কার্যক্রম ):
বেঞ্চমার্ক সার্ভে পরিচালনা:
একটি বেঞ্চমার্ক সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত কাশিয়ানী উপজেলা হতে ১০০ জন উপকারভোগী চিহ্নিত করা।
সমবায় সমিতি গঠন:
উপকারভোগীদের মধ্য হতে ৫০ জনের সমন্বয়ে ১টি সমিতি গঠন। কাশিয়ানী উপজেলায় ০২টি সমবায় সমিতি নিবন্ধিত হবে।
প্রশিক্ষণ :
প্রত্যেক উপকারভোগীকে আধুনিক ডেইরি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ৬ টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ৪ দিন ও ২ দিন এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
গাভী ঋণ প্রদান ও আবর্তক তহবিল:
উন্নত জাতের ২টি বকনা ক্রয়ের লক্ষ্যে প্রত্যেক উপকারভোগীকে ১৬০,০০০ টাকা, লালন পালনের জন্য ৪০,০০০ টাকা মোট ২,০০,০০০ টাকা ঘূর্ণায়মান তহবিল হতে ঋণ প্রদান করা হবে।
দুগ্ধ বিপনন:
উৎপাদিত দুধ স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্থানীয় বাজারে বিপণন করা হবে। প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত চিলিং প্ল্যান্ট এর মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিপণনের জন্য বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন (মিল্ক ভিটা) এর সাথে MoU স্বাক্ষর করা হবে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বকনা উন্নয়ন কেন্দ্র (হেইফার সেন্টার) স্থাপন:
ভালো জাতের বকনা সংগ্রহে বকনার উৎস হিসাবে ৫টি জেলায় ৫টি বকনা উন্নয়ন কেন্দ্র (হেইফার সেন্টার) স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে এ জেলার নিকটবর্তী হেইফার সেন্টারটি হবে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায়।
প্যারাভেট ও কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে প্রতি সমিতির ২ জন করে ৪ জনের প্রশিক্ষণ:
প্রতি সমিতির ২ জন করে মোট ৪ জন উদ্যমী পুরুষ ও মহিলাকে প্যারাভেট ও কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ে ২ মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
ফিনাল্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ও ডাটাবেজ ক্রয়:
প্রকল্পের আওতায় সৃষ্ট বকনা উন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, খাদ্য, টিকাকরণ সহ আয় ব্যয়ের তথ্যাদি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক একটি কাস্টমাইজড ফিনাল্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ক্রয় করা হবে।
গোপালগঞ্জ জেলার জন্য প্রকল্পের আউটপুট:
৮ জুন, ২০২৬ এর মধ্যে ২টি উৎপাদনমুখী সমবায় সংগঠন সৃষ্টি।
জুন, ২০২৬ এর মধ্যে নিবন্ধিত ২টি উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতির মোট সম্পদ ২০০.০০ লক্ষ টাকায় উন্নীতকরণ।
হোলস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের মাধ্যমে ২০০টি গাভী পালন প্রচলন।
জুন ২০২৬ এর মধ্যে ১০০ জন প্রশিক্ষিত সমবায়ীর প্রত্যক্ষ এবং ২০০ জন ব্যক্তির পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
২০০টি গাভীর জন্য ভ্যাক্সিনেশন ও কৃত্রিম প্রজনন এর ব্যবস্থা গ্রহণ।
** কাশিয়ানী উপজেলায় প্রকল্পের কার্যক্রম শীঘ্রই পুরোদমে চালু করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস